VAT Tax BD

01713560065

We provide Income Tax, VAT & Company

Advisory

Services

CALCULATORS

Income Tax

RJSC

IRC

ERC

VDS

TDS

OUR SERVICE

Company
Registration

Partnership
Firm Formation

Personal  Tax Return Filing

Import Reg. Certificate

Export Reg. Certificate

Corporate Tax Advisory 

VISA Related Services

VAT Return Submission

Registered Address

Monthly
Bookkeeping

Company
Accounts

Audit & Assure. Facilitation

Downloadable Materials

Enter your name, email id, and mobile number here to get the necessary Income Tax and VAT forms, Download the required form for free.

RECENT BLOGS

FAQ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় কখন ?

স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাকে করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। ৩০ নভেম্বর হচ্ছে করদিবস এবং করদিবসের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ধারা ১৭৩ মোতাবেক কর পরিশোধ করতে হবে।

করদিবস পরবর্তীকালে রিটার্ন দাখিল করা যাবে কি?

হ্যাঁ করদিবস পরবর্তীকালে রিটার্ন দাখিল করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে আয়কর আইনের ধারা ১৭৪ মোতাবেক কর পরিশোধ করতে হবে।

স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাগণ করদিবসের মধ্যে বা করদিবস পরবর্তীকালে যখনই রিটার্ন দাখিল করুন না কেন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিল করতে হবে। পূর্বের ন্যায় সাধারণ পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেই।

করদিবস পরবর্তীকালেও স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করা যাবে কি ?

হ্যাঁ। করদিবস পরবর্তীকালেও স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাগণ স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করবেন। অন্য কোনো পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেই।

করদিবস কী ?

করদাতা কর্তৃক রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ হলো করদিবস। করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করলে কোনো প্রকার জরিমানা বা অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। আয়কর আইন অনুযায়ী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের জন্য প্রতি বছরের ৩০ নভেম্বর করদিবস। ২০২৩-২০২৪ করবর্ষের জন্য ৩০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ হচ্ছে করদিবস, অর্থাৎ রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ। একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল করবেন।

এছাড়াও, নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে ভিন্ন ভিন্ন করদিবস রয়েছে, যেমন-

(ক) কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা যিনি পূর্বে কখনোই রিটার্ন দাখিল করেননি তার জন্য ২০২৩-২০২৪ করবর্ষের করদিবস ২০২৪ সনের ৩০ জুন;

(খ) বিদেশে অবস্থানরত কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে, তার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের দিন হতে ৯০ (নব্বই) তম দিন, যদি উক্তরূপ ব্যক্তি-

(অ) উচ্চ শিক্ষার জন্য ছুটিতে অথবা চাকরির জন্য প্রেষণে বা লিয়েনে নিযুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন; বা
(আ) অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে বৈধ ভিসা এবং পারমিটধারী হয়ে বাংলাদেশে বাহিরে অবস্থান করেন;

করদিবসের তারিখ যেক্ষেত্রে সরকারি ছুটির দিন সেক্ষেত্রে উক্ত দিনের অব্যবহিত পরবর্তী কর্মদিবস।

আয়কর রিটার্ন কোথায় দাখিল করতে হয় ?

টিআইএন সনদে উল্লেখিত অধিক্ষেত্র বা সার্কেল অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করতে হবে। রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতা বিদেশে অবস্থান করলে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও রিটার্ন দাখিল করা যায়। https://etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনেও রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ রয়েছে।

রিটার্ন দাখিল না করলে কী হয় ?

যে সকল ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, রিটার্ন দাখিল না করলে সে সকল সেবা হতে বঞ্চিত হতে হবে। যেমন- ক্ষেত্রমত, গ্যাস ও বিদ্যুৎসংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে, বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে অসুবিধা হবে ইত্যাদি।

এছাড়াও নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা রয়েছে, যেমন-


ক। আয়কর আইনের ধারা ২৬৬ অনুযায়ী উপকর কমিশনার কর্তৃক আরোপিত জরিমানা পরিশোধ করা;
খ। উপকর কমিশনার কর্তৃক একতরফাভাবে নির্ধারিত কর পরিশোধ করা।

স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার আয়কর রিটার্ন, কর নির্ধারণ পদ্ধতি ও রিটার্নের প্রকারভেদ।

পূর্বে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি পদ্ধতি প্রচলিত ছিলো- সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি।
বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের জন্য কেবল স্বনির্ধারণী পদ্ধতি রয়েছে। অন্য কোনোভাবে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেই। https://etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে যেকোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি রিটার্ন রয়েছে, যথা:
অ। আইটি ঘ (২০২৩)
আ। আইটি-১১গ (২০২৩)

তবে, সকল শ্রেণির করদাতা আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর অধীন প্রচলিত রিটার্নে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নপূর্বক রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। যেমন, ব্যক্তি করদাতার জন্য রিটার্ন- আইটি ১১গ, আইটি ১১গ ২০১৬ কোম্পানি এর জন্য রিটার্ন- আইটি ১১ঘ ইত্যাদি।

আয়কর রিটার্ন- আইটি ঘ (২০২৩) কি ?

আইটি ঘ (২০২৩) একটি এক পাতার রিটার্ন। এটি সবচেয়ে সহজ ও সংক্ষিপ্ত রিটার্ন। যদি কোনো করদাতা নিম্নবর্ণিত সকল মানদন্ড পূরণ করেন তবে তিনি এক পাতার আইটি ঘ (২০২৩) রিটার্নটি ব্যবহারের যোগ্য হবেন, যথা:-

শর্তাবলি
১। করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৫,০০,০০০ টাকার অধিক নয়
২। মোট পরিসম্পদের পরিমাণ ৪০,০০,০০০ টাকার অধিক নয়
৩। কোনো মটরযানের মালিক নন
8। কর্পোরেশন এলাকায় কোনো গৃহ-সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টের মালিক নন
৫। বাংলাদেশের বাহিরে কোনো পরিসম্পদের মালিক নন
৬। কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নন

এই রিটার্নে কেবল নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি দিলেই রিটার্নটি সম্পন্ন হবে, যথা:-

১। আয়ের উৎস
২। মোট পরিসম্পদ
৩। মোট আয়
৪। আরোপযোগ্য কর
৫। কর রেয়াত
৬। প্রদেয় কর
৭। উৎসে পরিশোষিত কর
৮। রিটার্নের সাথে পরিশোধিত কর
৯। জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়।

আয়কর রিটার্ন- আইটি-১১গ (২০২৩) কি ?

আইটি ১১গ (২০২৩) রিটার্নটি কেবলমাত্র স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য। এই রিটার্ন দাখিল করা হলে করদাতার কর নির্ধারণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য হবে। এই রিটার্নের মাধ্যমে একজন করদাতা নিম্নোক্ত বিষয়াদি উপস্থাপন করবেন, যথা:-

(অ) সকল প্রকার আয়ের খাতভিত্তিক বিবরণী ও মোট আয় নির্ধারণ;
(আ) আয়কর এবং প্রত্যর্পণ নির্ধারণ;
(ই) জীবন যাপন সম্পর্কিত সকল প্রকার ব্যয়ের বিবরণ;
(গ) বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত সকল পরিসম্পদের বিস্তারিত বিবরণ।

আয়ের খাতসমূহ কী কী ?

একজন করদাতার সকল প্রকার আয়কে নিম্নবর্ণিত সাতটি খাতে বিভক্ত করা হয়েছে,
যথা:-
(১) চাকরি হইতে আয়;
(২) ভাড়া হইতে আয়;
(৩) কৃষি হইতে আয়;
(৪) ব্যবসা হইতে আয়;
(৫ ) মূলধনি আয়;
(৬) আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়;
(৭) অন্যান্য উৎস হইতে আয়।

মোট আয় কী ?

সকল খাতের আয় যোগ করে মোট আয় নির্ধারণ করতে হবে এবং উক্তরূপ মোট আয়ের উপর প্রদেয় কর পরিগণনা করতে হবে। একজন করদাতা আইটি ১১গ (২০২৩) রিটার্নের নিম্নবর্ণিত অংশে খাতভিত্তিক আয়ের বিবরণ এবং মোট আয় নির্ধারণ করতে পারবেন।

যথা:
(1)  চাকরি হইতে আয়
(2). ভাড়া হইতে আয়
(3). কৃষি হইতে আয়
(4). ব্যবসা হইতে আয়
(5). মূলধনি আয়
(6). আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয় (ব্যাংক সুদ/মুনাফা, লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্র মুনাফা, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি)
(7). অন্যান্য উৎস হইতে আয় (রয়‍্যালটি, লাইসেন্স ফি, সম্মানী, ফি, সরকার প্রদত্ত নগদ ভর্তুকি ইত্যাদি)
(8). ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের আয়ের অংশ
(9). অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান, স্ত্রী বা স্বামীর আয় (করদাতা না হইলে)
(10).বিদেশে উদ্ভুত করযোগ্য আয়
(11).মোট আয় (ক্রমিক ১ হইতে ১০ এর সমষ্টি)

ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ হতে প্রাপ্ত আয় কি মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে?

কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা যদি ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ হতে আয় প্রাপ্ত হন তবে তিনি উক্তরূপ আয় তার মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং পরবর্তীতে তিনি নিয়মানুযায়ী গড়করণের মাধ্যমে উক্তরূপ আয়ের জন্য কর রেয়াত প্রাপ্ত হবেন।

স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয় কি করদাতার মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে ?

যেক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান করদাতা নয় কিন্তু তাদের আয় রয়েছে সেক্ষেত্রে উক্ত আয় স্বামী/স্ত্রী যিনি করদাতা তার রিটার্নে মোট আয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে।

আয়কর কী?

আয়কর অর্থ আয়কর আইনের অধীন আরোপযোগ্য বা পরিশোধযোগ্য যেকোনো প্রকারের কর বা সারচার্জ; আয়কর পরিগণনার নিয়ম প্রথমে মোট আয় নিরূপণ করতে হবে। এরপর মোট আয়ের উপর বিভিন্ন ধাপ অনুযায়ী করদায় নিরূপন করতে হবে। নিরূপিত গ্রস করদায় হতে বিনিয়োগ রেয়াত বাদ দিয়ে প্রদেয় করদায় নির্ধারণ করতে হবে। নিম্নে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য করহার উপস্থাপন করা হলো, যথা:-

(ক) প্রথম ৩,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর — শূন্য
(খ) পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর — ৫%
(গ) পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর — ১০%
(ঘ) পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর — ১৫%
(ঙ) পরবর্তী ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর — ২০%
(চ) অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর — ২৫%

(১) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,০০,০০০ টাকা;
(২) তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,৭৫,০০০ টাকা;
(৩) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৫,০০,০০০ টাকা;
(৪) কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান/পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০,০০০ টাকা অধিক হবে; প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হইলে যেকোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন;

 

কর রেয়াত কি ?

কর রেয়াত হচ্ছে এক ধরণের কর অব্যাহতি। কোনো করদাতার গ্রস করদায়ের বিপরীতে আইনানুযায়ী ছাড় প্রাপ্তির বিষয়টি হচ্ছে কর রেয়াত। কর রেয়াত প্রাপ্তির পূর্বশর্ত হচ্ছে করদাতার করদায় থাকতে হবে। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে করদাতার কোনো প্রকার করদায় নেই সেক্ষেত্রে করদাতা কোনো প্রকার কর রেয়াত প্রাপ্ত হবেন না। যেক্ষেত্রে করদাতার করদায় অপেক্ষা করদাতা কর্তৃক দাবীকৃত আইনানুগ কর রেয়াতের পরিমাণ বেশি সেক্ষেত্রে নূন্যতম করদায় পরিশোধ সাপেক্ষে রেয়াতের পরিমাণ সমন্বয় হবে।

আয়কর কিভাবে পরিশোধ করতে হবে ?

এ-চালানের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে হবে। একজন করদাতা যে কর অঞ্চলের অধীন সে কর অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত কোডে করদাতাকে এ-চালানের মাধ্যেমে কর পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে করদাতাকে আইনানুযায়ী উৎসে কর পরিশোধ করতে হবে।

কর প্রত্যর্পণ কী ?

কোনো করবর্ষে করদাতা কর্তৃক পরিশোধিত করের পরিমাণ তার প্রদেয় কর অপেক্ষা অতিরিক্ত হলে করদাতা রাষ্ট্রের নিকট হতে উক্তরূপ পরিশোধিত অতিরিক্ত কর ফেরত দাবী করতে পারবেন। এরূপ পরিশোধিত অতিরিক্ত কর ফেরতের দাবী কর প্রত্যর্পণ নামে অভিহিত।

করদাতা কর্তৃক দাবীকৃত প্রত্যর্পণযোগ্য কর উপকর কমিশনার রিটার্ন প্রসেসপূর্বক চূড়ান্ত করবেন। চূড়ান্তভাবে প্রত্যর্পণযোগ্য কর করদাতার অনুকূলে ফেরত প্রদান করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে অথবা করদাতার চাহিদা মোতাবেক পরবর্তী করবর্ষে উদ্ধৃত করদায়ের সাথে সমন্বয় করার বিধান রয়েছে।

 

জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী (আইটি-১০ বিবি (২০২৩) কি ?

করদাতাকে রিটার্ন আইটি ১১গ (২০২৩) এ জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করতে হয়। উক্ত বিবরণীতে করদাতার খাতভিত্তিক ব্যয়াদি উল্লেখ করতে হবে এবং যেক্ষেত্রে এ ধরণের ব্যয়ের কোনো অংশ পরিবারের অন্য কেউ বহন করে তা মন্তব্যের কলামে উল্লেখ করা যেতে পারে। রিটার্নের জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী নিম্নরূপ:

১ ব্যক্তিগত ও পরিবারের ভরণপোষণ খরচ
২ আবাসন সংক্রান্ত ব্যয়
৩ ব্যক্তিগত যানবাহন সংক্রান্ত ব্যয়
8 ইউটিলিটি সংক্রান্ত ব্যয় (বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস, পানি, টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি)
৫ শিক্ষা ব্যয়
৬ নিজ খরচে দেশে ও বিদেশ ভ্রমণ, অবকাশ ইত্যাদি সংক্রান্ত ব্যয়
৭ উৎসব ও অন্যান্য বিশেষ ব্যয়
৮ উৎসে কর্তিত/সংগৃহীত কর (সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর কর্তিত করসহ) ও বিগত বৎসরে রিটার্নের ভিত্তিতে প্রদত্ত আয়কর ও সারচার্জ
৯ প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য উৎস হতে গৃহিত ব্যক্তিগত ঋণের সুদ পরিশোধ

 

পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী (আইটি ১০বি ২০২৩) ?

রিটার্ন আইটি ১১গ (২০২৩) এর আইটি ১০বি (২০২৩) অংশে করদাতার পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী রয়েছে। যে সকল স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা নিম্নবর্ণিত শর্তাদি পূরণ করবেন তাদেরকে এই পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী বাধ্যতামূলকভাবে দাখিল করতে হবে,
যথা:-

ক। করদাতা যদি গণকর্মচারী হন;

খ। করদাতার দেশে ও বিদেশে অবস্থিত মোট পরিসম্পদের মূল্য ৪০,০০,০০০ টাকার অধিক হলে;

গ। করদাতার মোট পরিসম্পদের মূল্য ৪০,০০,০০০ টাকার কম অথচ আয়বর্ষের কোনো সময় মোটরযানের মালিক ছিলেন অথবা সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে গৃহসম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করেছেন অথবা বিদেশে কোনো পরিসম্পদের মালিক হয়েছেন অথবা কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হয়েছেন;

ঘ। করদাতা যদি অনিবাসী বাংলাদেশী স্বাভাবিক ব্যক্তি হন অথবা বাংলাদেশী নন এমন স্বাভাবিক ব্যক্তি হন তাহলে তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশে অবস্থিত সকল পরিসম্পদের তথ্য প্রদান করবেন।

Scroll to Top