VATax

মূসক আইনের ধারা ২৩: রপ্তানির নিমিত্ত পণ্য সরবরাহ।

মূসক আইনের ধারা ২৩: রপ্তানির নিমিত্ত পণ্য সরবরাহ।

(১) রপ্তানির উদ্দেশ্যে কোন পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, পুনঃআমদানিকৃত বা পুনঃআমদানির জন্য অভিপ্রেত কোন পণ্যের * ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(পুন:আমদানির ক্ষেত্রে প্রথমেই প্রশ্ন আসবে পুনঃআমদানিকৃত পণ্যটি এবং ইতিপূর্বে রপ্তানিকৃত পণ্য একই কি-না? পণ্য একই হলে রপ্তানির বিপরীতে কোন প্রত্যর্পণ, রিফান্ড বা দাখিলপত্রে সমন্বয় গ্রহণ করা হলে তা ফেরত দিতে হবে এবং বিধি মোতাবেক শুল্কায়ন করতে হবে।)

(২) নিম্নবর্ণিত সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:-
(ক) যদি পণ্যটি সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হয় এবং উক্ত পণ্য সরবরাহকারী কর্তৃক বাংলাদেশে সংযোজন, সংস্থাপন বা আমদানি করা না হয়;
(যদি বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি ভারতে অবস্থিত তার কোন পণ্য সরবরাহ করে তাহলে ঐ পণ্যটি সরবরাহের জন্য কোন মূসক পরিশোধ করতে হবে না। যেমনঃ বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি তার মালিকানাধীন ভারতে অবস্থিত কোন শো-রুম থেকে কোন গাড়ী বিক্রয় করলে তাকে মূসক দিতে হবে না। অর্থাৎ এ সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট। প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত থেকে পণ্য সরবরাহ করা হলে বাংলাদেশী ব্যক্তির মূল্য সংযোজন কর প্রদানের বিষয় কেন আসবে? কারণ হচ্ছে, ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (১) এর (ক) অনুযায়ী সরবরাহকারী একজন আবাসিক ব্যক্তি এবং আবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক সরবরাহ করযোগ্য।}
(খ) যদি পণ্যটি আমদানির পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভোগের নিমিত্তে প্রবেশের পূর্বে বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে সরবরাহ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্য সরবরাহকালে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ছিল বলিয়া গণ্য হইবে:
(যদি কোন পণ্য আমদানি করে দেশের অভ্যন্তরে ভোগ না করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়, তাহলে তা মূসকযোগ্য হবে না। তবে বিধি অনুযায়ী এক্ষেত্রে বন্ড লাইসেন্স থাকার বাধ্যবাধকতা বিধি-১৮খ ও ১৮গ তে রয়েছে।)
(গ) লাইসেন্সধারী শুল্কমুক্ত পণ্য বিক্রেতা কর্তৃক পর্যটক বা বিদেশ হইতে আগত কোন দর্শনার্থীর নিকট বাংলাদেশের বাহিরে ভোগের নিমিত্ত কোন পণ্যের সরবরাহ; বা (শুল্কমুক্তভাবে পণ্য বিক্রয়ের জন্য বন্ড লাইসেন্সের আওতায় ডিউটি-ফ্রি শপ থাকে। এসব ডিউটি-ফ্রি শপে আমদানিকৃত পণ্য এয়ারপোর্ট, ইপিজেড বা অনুরূপ বন্ডেড এরিয়ায় পর্যটক বা বিদেশী নাগরিক কর্তৃক ভোগের ক্ষেত্রে তা শূন্যহার বিশিষ্ট হয়।)
(ঘ) যদি পণ্যটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের সমগ্র সময়কাল বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করে, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের লিজ, হায়ার, লাইসেন্স বা উহার ব্যবহার সম্পর্কিত অন্যান্য সরবরাহ পৃথক সরবরাহ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে:
(নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য লিজ, হায়ার বা লাইসেন্সের আওতাধীন কোন পণ্য চুক্তির পুরো সময়ই যদি বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করে তবে তা শূন্যহার বিশিষ্ট হবে। যেমনঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ফ্রান্সের থ্যালাস এলেনিয়া নামক কোম্পানি তৈরি করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটিই এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রথম তিনমাস পালন করবে। যেহেতু পুরো সময়ই স্যাটেলাইটটি বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করেছে সেহেতু স্যাটেলাইটটি তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবার উপর মূসক প্রযোজ্য হবে না। কারন Destination principle অনুযায়ী পণ্যটি বাংলাদেশে আসেনি। যদি উৎক্ষেপনের পূর্বেও বাংলাদেশে আসত তবে তার উপর ভ্যাট হতো।)
তবে শর্ত থাকে যে, যদি পণ্যটি আন্তর্জাতিক ভূখন্ডে অবস্থানের অব্যবহিত পূর্বে এবং পরে বাংলাদেশে অবস্থান করে, তাহা হইলে লিজকৃত পণ্যটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন পণ্যের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অনুরূপ কাজে ব্যবহার্য কোন পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:-
(ক) যদি সরবরাহকৃত পণ্য উক্ত পণ্যের সহিত সংযোজন করা হয় বা উহার অংশে পরিণত হয় বা সংযোজিত হইবার ফলে উহা অব্যবহারযোগ্য বা নষ্ট হইয়া যায়:
(খ) যদি উক্ত পণ্য কাস্টমস আইনের অধীন বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আমদানি করা হয়; বা
(গ) যদি উক্ত পণ্য বাংলাদেশে সেবা গ্রহণের নিমিত্ত অস্থায়ীভাবে আনয়ন করা হয় ও সেবা গ্রহণের পর উক্ত পণ্য সেবা গ্রহণ ব্যতীত বাংলাদেশে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করিয়া উহা বাংলাদেশ হইতে রপ্তানি করা হয়।
(কোন পণ্য মেরামত, সংস্কার, পরিবর্তন সাধন ইত্যাদির লক্ষ্যে অস্থায়ীভাবে আমদানি করা হলে তা শূন্যহার বিশিষ্ট হবে। বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে কোন যন্ত্র আমদানি করে তা দেশে ভোগ না করে পুণরায় ফেরত প্রদান করা হলে তার উপর মুসক পরিশোধ করতে হবে না। তবে মেশিনের কোন অংশ যদি সংস্কার কার্যক্রমের কারনে সংস্কারকৃত মেশিনের অংশ হয়ে যায় বা নিঃশেষ হয়ে যায় তাহলেও ঐ অংশের জন্য মূসক পরিশোধ করতে হবে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পদ্মা সেতু তৈরির জন্য বিদেশ থেকে অনেক মেশিন আমদানি করা হয়। এগুলো সেবা গ্রহন করার পর বাংলাদেশে ব্যবহার না করে ফেরত পাঠানো হয়। এসব মেশিন দ্বারা গৃহীত সেবা শূন্যহার বিশিষ্ট।)

(৪) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ওয়ারেন্টিযুক্ত পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:-
(ক) অনাবাসিক ও অনিবন্ধিত ওয়ারেন্টি প্রদানকারী কর্তৃক পণ প্রদান করা হইবে মর্মে ওয়ারেন্টি প্রদানকারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন যদি উক্ত পণ্য সরবরাহ করা হয়: এবং
(খ) মালিকের উপর কোনরূপ মাশুল (charge) আরোপ ব্যতিরেকে যদি উক্ত পণ্য মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা হয়।
(বিদেশী কোন পণ্য বিক্রেতা কোন প্রকার মাশুলব্যতীত ওয়ারেন্টি প্রদানের শর্তে পণ্য বিক্রয় করলে, সে পণ্যের ওয়ারেন্টি যদি বাংলাদেশী কোন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রদান করা হয় এবং এর খরচ কোন অনাবাসিক ব্যক্তি বহন করেন, তবে এ ওয়ারেন্টির বিপরীতে মূসক প্রযোজ্য হবে না, বরং তা শূন্যহার বিশিষ্ট হবে। তবে অনাবাসিক ব্যক্তির বাংলাদেশী কোন প্রতিনিধির নিকট প্রেরণ করা হলে সে প্রতিনিধিকে মূসক পরিশোধ করতে হবে।)

(৫) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ বা অনুরূপ কোন যানবাহনের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অন্যবিধভাবে উহার কায়িক অবস্থার উপর অন্য কোন প্রভাব বিস্তারকরণের প্রক্রিয়ায় সরবরাহকৃত পণ্য শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
(আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ বা অনুরূপ কোন যানবাহনের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অন্যভাবে কায়িক অবস্থার উপর অন্য কোন প্রভাব বিস্তার প্রক্রিয়ায় সরবরাহকৃত পণ্য শূন্যহার বিশিষ্ট হলেও সিভিল এভিয়েশন বা নৌবন্দর বা স্থলবন্দর কর্তৃক সরবরাহকৃত সেবাগুলো মূসকযোগ্য।)

(৬) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ সম্পর্কিত পণ্যসম্ভার বা যন্ত্রাংশ ফ্লাইটের সময় বা সামুদ্রিক যাত্রাপথে উক্ত যানবাহনে ব্যবহার, ভোগ বা বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত হইলে উক্ত পণ্য-সম্ভার বা যন্ত্রাংশ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

ব্যাখ্যা: এই ধারায়, “পণ্যসম্ভার” অর্থ কোন সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের ক্রু বা যাত্রীগণের ব্যবহার্য বা উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজে ব্যবহার্য পণ্যসম্ভার এবং ব্যবহার্য পণ্য, জ্বালানী, খুচরা যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, অনুরূপ পণ্য, তাৎক্ষণিক ব্যবহৃত হউক বা না হউক, উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top