(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আমদানিকৃত কোন সেবা সরবরাহ করযোগ্য সরবরাহ হইবে, যদি-
(ক) সরবরাহ গ্রহীতা একজন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি হন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় উক্ত সেবা অর্জন (acquire) করেন; এবং
(খ) সরবরাহটি নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি কর্তৃক অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে প্রদত্ত হইত এবং উক্ত সেবা শূন্যহার বিশিষ্ট না হইয়া অন্য কোন হারে করযোগ্য হইত।
(২) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের গ্রহীতা কর্তৃক প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর উত্ত ব্যক্তির উৎপাদ এবং উপকরণ উভয়বিধ কর হইবে।
(আমদানিকৃত সেবার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহণকারী মূসক পরিশোধ করবে। নিবন্ধিত ব্যক্তি দাখিলপত্র প্রদানের সময় দাখিলপত্র ফরম মূসক-৯.১ এর অংশ-৩ তে প্রদেয় মুসকের ঘরে উৎপাদ কর হিসাবে ও অংশ-৪ তে রেয়াতের ঘরে প্রদর্শন করবেন। এক্ষেত্রে, সেবাগ্রহীতা কর্তৃক প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর উৎপাদ এবং উপকরণ উভয়বিধ কর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর ফলে সেবাগ্রহীতা কর্তৃক পরিশোধিত মুসক দাখিলপত্রে প্রদর্শিত হবে এবং তা হিসাবে যুক্ত হবে। যেহেতু দাখিলপত্রের অংশ-৭ এর নোট-৫০ তে প্রদত্ত ট্রেজারি চালানের সাথে আমদানিকৃত সেবার বিপরীতে প্রদত্ত ট্রেজারি চালানের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়নি সেহেতু তা আলাদাভাবে রাজস্ব কর্মকর্তা রাজস্ব বিবরণীতে প্রদর্শন করবেন।)
(৩) আমদানিকৃত সেবা সরবরাহের কারণে যদি কোন সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হইয়া থাকে বা হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ সমন্বয় সংঘটনের কারণে উক্ত সেবা একটি করযোগ্য সরবরাহ হইবে এবং উক্ত সেবার সরবরাহ গ্রহীতা সেবা সরবরাহকারী হিসাবে গণ্য হইবেন।
(একজন আবাসিক ব্যক্তি যদি বিদেশ থেকে কোন সেবা অর্জন করেন তিনি আমদানিকৃত সেবার বিপরীতে প্রযোজ্য মূসক পরিশোধ করবেন। ঐ অর্জিত সেবা যদি তিনি স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করেন তাহলে তিনি স্থানীয় পর্যায়ে প্রযোজ্য মূসক পরিশোধ করবেন এবং আমদানি পর্যায়ে পরিশোধিত মূসক সমন্বয় গ্রহন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, আমদানিকৃত সেবার গ্রহীতা নিজেই সেবা সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হবেন।
(৪) “আমদানিকৃত সেবা’র সংজ্ঞা এবং উক্ত সেবার ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যদি কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট কোন স্থান হইতে এবং বাংলাদেশের বাহিরে এক বা একাধিক নির্দিষ্ট স্থান হইতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তবে-
(ক) উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাহিরে পরিচালিত করযোগ্য কার্যক্রমের ক্ষেত্রে দুইজন পৃথক ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হইবে:
(যদি কোন ব্যক্তির বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের বাইরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে, তাহলে বাংলাদেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশী অফিসে কোন সেবা সরবরাহ করলে তিনি আলাদা ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হবেন এবং সরবরাহের ধরন অনুযায়ী তিনি মূসক পরিশোধ করবেন। মূসকের দায় নিরূপণ ও হিসাবের স্বচ্ছতার জন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক একজন হলেও তা দুইজন পৃথক ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হবে।}
(খ) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যক্তির নিকট (এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংজ্ঞায়িত) সেবার প্রকৃতিবিশিষ্ট সুবিধা সম্বলিত সেবা প্রদান করিয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে, যাহা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বা ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক প্রাপ্ত হইয়াছে:
(কিছু কিছু সেবা আছে যেগুলো বিদেশে বসে অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক সরবরাহ করা হলেও তা ডিটেক্ট করা যায় না কিন্তু বাংলাদেশি ভোক্তা তা ভোগ করে। যেমন: সফটওয়্যার কাস্টমাইজেশন, মেনটেনেন্স ইত্যাদি সেবা। এ সেবা অনাবাসিক ব্যক্তি তার দেশীয় অফিসে প্রদান করলেও তা মূসকযোগ্য হবে।।
(গ) সেবা সরবরাহ করা হইয়াছে উহা অনুমান করিয়া সরবরাহের সময় নির্ধারণ করা হইবে। এবং (ঘ) সেবা সরবরাহ বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে অবস্থিত কোন সহযোগীর নিকট প্রদান করা হইয়াছে অনুমান করিয়া উহার মূল্য নির্ধারণ করা হইবে।
(যিনি দেশে এবং বিদেশে একই সাথে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এমন করদাতাদের জন্য উপধারা (৪) প্রণয়ন করা হয়েছে। এধরনের ক্ষেত্রে, বিদেশ হতে বাংলাদেশে সেবা সরবরাহ করলে সেবাগ্রহীতা সেবা সরবরাহকারীর সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং আইনের ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী ন্যায্য বাজার মূল্য নির্ধারণ করে কর ভগ্নাংশ দ্বারা গুণ করে মূসক আদায় করতে হবে।)
(৫) এই ধারার অন্যান্য উপ-ধারাসমূহে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রথম তফসিলে বর্ণিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবাসমূহ ব্যতীত নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত নহেন অথবা নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তিযোগ্য নহেন এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক আমদানিকৃত কোন সেবা করযোগ্য সরবরাহ হইবে এবং উহা হইতে নিম্নরূপে মূল্য সংযোজন কর আদায় হইবে, যথা:
(ক) সংশ্লিষ্ট সেবা আমদানির ক্ষেত্রে সেবামূল্যের আংশিক বা পূর্ণ মূল্য পরিশোধের সময় প্রদেয় সমুদয় মূল্য সংযোজন কর মূল্য পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তন করিবে; এবং
(খ) কর্তনকারী ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেবা আমদানিকারকের পক্ষে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করিয়া তাহার দাখিলপত্রে প্রদর্শন করিবে।। (নিবন্ধিত নয় এমন ব্যক্তি কর্তৃক আমদানিকৃত সেবার বিপরীতে মূসক পরিশোধ করা হলে ব্যাংক তা থেকে উৎসে কর্তন করবে এবং ব্যাংক যে কমিশনারেটে নিবন্ধিত সে কমিশনারেটের অর্থনৈতিক কোডে ট্রেজারি জমা প্রদান করবে। রিটার্নের অংশ-৫ এ বৃদ্ধিকারী সমন্বয় হিসাবে প্রদর্শন করে দাখিলপত্র প্রদান করবে।)