(১) কর ফাঁকি রোধকল্পে কমিশনার বা মহাপরিচালক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন যেকোন ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের যাবতীয় বিষয় নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান করিতে পারিবেন।
(কমিশনার বা মহাপরিচালককে নিবন্ধিত ব্যক্তির পাশাপাশি অনিবন্ধিত ব্যক্তিকেও নিরীক্ষা করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কারণ নিবন্ধনযোগ্য অনিবন্ধিত ব্যক্তিকেও অডিট করার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হতে পারে।)
(২) বোর্ড, উক্ত নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বিধি প্রণয়ন এবং অডিট ম্যানুয়াল প্রণয়ন ও প্রকাশ করিবে।
(৩) কমিশনার বা মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত মূসক কর্মকর্তা ১[**] নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া কমিশনার বা মহাপরিচালক বরাবরে নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে, নিরীক্ষিত কর মেয়াদে করদাতার প্রদেয় করের দায়-দায়িত্ব উদঘাটিত হইলে, কমিশনার বা মহাপরিচালক উক্ত করদায় নির্ধারণ করিবেন, এবং অপরিশোধিত করের উপর প্রযোজ্য সুদ উল্লেখ করিয়া উহা আদায়ের জন্য পরবর্তী কার্যধারা গ্রহণের নিমিত্ত উহা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
(উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী মুসক কর্মকর্তা নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করে কমিশনার বা মহাপরিচালকের নিকট তা চূড়ান্ত করে করদায় নির্ধারণের লক্ষ্যে উপস্থাপন করবেন। তিনি নিরীক্ষা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ধারা ১২৭ মোতাবেক সুদ প্রযোজ্য তা চূড়ান্ত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করবেন। নির্ধারিত করদায় ধারা ৭৩ মোতাবেক শুনানী গ্রহণ সাপেক্ষে কর নির্ধারণের লক্ষ্যে কার্যধারা গ্রহণের জন্য (অর্থাৎ, শুনানী গ্রহণ সাপেক্ষে কর নির্ধারণ, সুদ ও জরিমানা আরোপ ও আদায় করার লক্ষ্যে) ধারা ৮৬ এর সারণীতে উল্লিখিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করবেন। মূসক কর্মকর্তা কর নির্ধারণ করে কর পরিশোধের জন্য যে তারিখ নির্ধারণ করে দেবেন তার পরদিন হতে ধারা ১২৭ অনুযায়ী সুদ আদায়যোগ্য হবে।)
(৫) ধারা ৭৩ এ যাহা কিছুই উল্লেখ থাকুক না কেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কমিশনার কর মেয়াদ সমাপ্তির ৩ (তিন) বৎসরের অধিককাল পূর্বের কোন কর মেয়াদের জন্য কোন বকেয়া কর দাবি করিতে পারিবেন না।