(১) একক বা সহযোগী কর্মকান্ডের সহিত সম্মিলিত যেভাবে হউক না কেন, কোনো সম্পদ হস্তান্তরের কারণে বা ফলস্বরূপ কোনো আয় কোনো অনিবাসীকে প্রদেয় হলে উক্ত আয় এইরূপ কোনো ব্যক্তির আয় হিসাবে গণ্য হইবে যিনি-
(ক) এইরূপ হস্তান্তর বা সহযোগী কর্মকান্ডের মাধ্যমে এইরূপ কোনো অধিকার অর্জন করেন যাহার কারণে বা ফলশ্রুতিতে তিনি উক্ত অনিবাসীকে প্রদেয় আয় তাৎক্ষণিকভাবে বা পরবর্তীকালে ভোগ করিবার ক্ষমতা রাখেন;
(খ) এইরূপ লেনদেন বা সহযোগী কর্মকান্ডের সুবাদে যেকোনো সময় কোনো অর্থ যাহা ঋণ বা ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে পরিশোধিত বা প্রদেয় অথবা অন্য কোনো অর্থ গ্রহণ করেন বা গ্রহণ করিবার অধিকার প্রাপ্ত হন, তবে আয় হিসাবে বা পূর্ণ আর্থিক মূল্য হিসাবে পরিশোধিত বা প্রদেয় কোনো অর্থ নহে।
(২) যে আয় একজন অনিবাসীকে প্রদেয় হয় এবং উপ-ধারা (১) এর অধীন উক্ত উপ-ধারায় বর্ণিত ব্যক্তির আয় হিসাবে গণ্য করা হয় সেই আয় এই আইনের সকল উদ্দেশ্যে আয় হিসাবে বিবেচিত হইবে, বর্ণিত আয় এই ধারার বিধান ব্যতীত অন্যভাবে করযোগ্য হউক বা না হউক।
(৩) এই ধারার বিধানাবলি প্রয়োগ করা যাইবে না. যদি উপকর কমিশনার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে-
(ক) এইরূপ হস্তান্তর বা সহযোগী কর্মকান্ডের মধ্যে করদায় পরিহারের এক বা একাধিক উদ্দেশ্য নিহিত ছিল না; বা
(খ) এইরূপ হস্তান্তর বা সহযোগী সকল কর্মকান্ডে প্রকৃত ব্যবসায়িক লেনদেন নিহিত ছিল এবং করদায় পরিহারের পরিকল্পনা নিহিত ছিল না।
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন আয় হিসাবে গণ্য হইয়া করারোপিত হইয়াছে এমন কোনো আয় পুনর্বার কোনো ব্যক্তির আয়ের অংশ হিসাবে গণ্য করিয়া করারোপ করা যাইবে না।
(৫) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, কোনো ব্যক্তির কোনো অনিবাসীকে প্রদেয় আয় ভোগের ক্ষমতা রহিয়াছে মর্মে বিবেচিত হইবে, যদি-
(ক) যেকোনো সময় যেকোনো রূপে উক্ত ব্যক্তির সুবিধা নিশ্চিত করিবার জন্য এইরূপ আয় প্রকৃতপক্ষে পরিগণনা করা হইয়…
(খ) কোনো হস্তান্তরের ক্ষেত্রে “সহযোগী কর্মকাণ্ড” বলিতে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কিত কোনো কর্মকান্ডকে বুঝাইবে, যথা:
(অ) হস্তান্তরিত কোনো সম্পদ,
(আ) উক্তরূপ সম্পদ হইতে উদ্ভুত কোনো আয়; বা
(ই) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো হস্তান্তরিত সম্পদের প্রতিরূপকারী কোনো সম্পদ, বা উক্ত সম্পদ হইতে উদ্ভূত পুঞ্জিভূত আয়;
(গ) “সুবিধা” বলিতে যেকোনো ধরনের পরিশোধ অন্তর্ভুক্ত হইবে,
(ঘ) “হস্তান্তরিত সম্পদের প্রতিরূপকারী কোনো সম্পদ, বা উক্ত সম্পদ হইতে উদ্ভুত কোনো পুঞ্জিভূত বলিতে উক্ত সম্পদ বা আয় বা পুঞ্জিভূত আয়ের হস্তান্তর যে কোম্পানির নিকট বা যে ব্যক্তির নিকট হইয়াছে সেই কোম্পানির শেয়ার বা দায়-দায়িত্বের উল্লেখ অথবা সেই ব্যক্তির দায়-দায়িত্বের উল্লেখও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(ঙ) বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোনো সংস্থা অনিবাসী হিসাবে গণ্য হইবে।
(৬) কোনো ব্যক্তির আয় ভোগের ক্ষমতা রহিয়াছে কিনা তাহা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে যেকোনো হস্তান্তর এবং সহযোগী কর্মকান্ডের ফলাফল ও প্রভাব বিবেচনা করিতে হইবে এবং এইরূপ হস্তান্তর বা সহযোগী কর্মকান্ডের ফলাফলস্বরূপ যেকোনো সময় এইরূপ ব্যক্তির নিকট উদ্ভূত যেকোনো প্রকৃতির বা ধরনের সুবিধা, যাহা উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তায় তাহা বিবেচনা করিতে হইবে।
(৭) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, –
(ক) “পরিসম্পদ” বলিতে যেকোনো ধরনের সম্পত্তি বা অধিকারও অন্তর্ভুক্ত হইবে এবং যেইক্ষেত্রে হস্তান্তরিত সম্পদ কোনো অধিকার সেইক্ষেত্রে ‘হস্তান্তর’ বলিতে উক্তরূপ অধিকার সৃষ্টিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(খ) কোনো হস্তান্তরের ক্ষেত্রে “সহযোগী কর্মকান্ড” বলিতে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কিত কোনো কর্মকান্ডকে বুঝাইবে, যথা:-
(অ) হস্তান্তরিত কোনো সম্পদ;
(আ) উক্তরূপ সম্পদ হইতে উদ্ভূত কোনো আয়; বা
(ই) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো হস্তান্তরিত সম্পদের প্রতিরূপকারী কোনো সম্পদ, বা উক্ত সম্পদ হইতে উদ্ভূত পুঞ্জিভূত আয়;
(গ) “সুবিধা” বলিতে যেকোনো ধরনের পরিশোধ অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ঘ) “হস্তান্তরিত সম্পদের প্রতিরূপকারী কোনো সম্পদ, বা উক্ত সম্পদ হইতে উদ্ভুত কোনো পুঞ্জিভূত” বলিতে উক্ত সম্পদ বা আয় বা পুঞ্জিভূত আয়ের হস্তান্তর যে কোম্পানির নিকট বা যে ব্যক্তির নিকট হইয়াছে সেই কোম্পানির শেয়ার বা দায়-দায়িত্বের উল্লেখ অথবা সেই ব্যক্তির দায়-দায়িত্বের উল্লেখও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(ঙ) বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোনো সংস্থা অনিবাসী হিসাবে গণ্য হইবে।