(১) কোন ব্যক্তি লটারী, লাকী ড্র হাউজি, র্যাফেল ড্র বা অনুরূপ উদ্যোগ পরিচালনা করিলে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক বিক্রীত টিকেটের (যে নামেই অভিহিত হউক) পণ হইবে টিকেটের মূল্য।
(২) পরিবেশক বা প্রতিনিধির নিকট মূল্যছাড় প্রদান করিয়া বিক্রিত টিকেটের ক্ষেত্রে উক্ত মূল্যছাড় হিসাবে গণ্য না করিয়া উহার মূল্য নিরূপণ করিতে হইবে।
(লটারির টিকেট পরিবেশক বা প্রতিনিধির নিকট মূল্য ছাড় দিয়ে বিক্রয় করলেও এ মূল্যছাড় বিবেচনায় না নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ আছে। কিন্তু, লটারির গায়ে যে বিক্রয় মূল্য মুদ্রিত থাকে তা-ই ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য। পরিবেশক বা প্রতিনিধি হ্রাসকৃত মূল্যে লটারি ক্রয় করলেও ভোক্তা মুদ্রিত মূল্যেই তা ক্রয় করে। তাই মুদ্রিত মূল্য বা ভোক্তা কর্তৃক ক্রয়কৃত মূল্যই পণ বা মুসকসহ মূল্য। লটারি আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিধি-৩৫ অনুযায়ী মুদ্রিত মূল্যে যে পরিমাণ টিকেট বিক্রয় করবেন সে মূল্য থেকে পুরস্কার মূল্য বাদ দিয়ে অবশিষ্ট মূল্যের উপর মূসক পরিশোধ করবেন। সুতরাং ভোক্তা পর্যায়ে মুদ্রিত মূল্যে কোন ছাড় না থাকায় তা মূসক আরোপযোগ্য মূল্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, একটি লটারির টিকেটের গায়ের মুদ্রিত মূল্য ১০ টাকা হলে পরিবেশক বা প্রতিনিধি ৯ টাকা করে কিনে দশ টাকা বিক্রয় করলে মূসক ১০ টাকার উপরই আরোপিত হবে। বিধি ৩৫ অনুযায়ী পুরষ্কার বাবদ পরিশোধিত অর্থ বাদ দিয়ে হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণ করতে হবে।)