VATax

মূসক আইনের ধারা ৭৩ : কর নির্ধারণ।

মূসক আইনের ধারা ৭৩ : কর নির্ধারণ।

[(১) কমিশনার বা ধারা-৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে তৎকর্তৃক প্রদেয় কর নির্ধারণের জন্য প্রাথমিক কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) যদি কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা দাখিলপত্র পরীক্ষা করিয়া দাখিলপত্রের যথার্থতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হন বা যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করেন যে,-
(অ) কোন দাখিলপত্রে উক্ত ব্যক্তি উৎপাদ কর, সম্পূরক শুল্ক বা বৃদ্ধিকারী বা হ্রাসকারী সমন্বয়ের বিষয়ে মিথ্যা ঘোষণা বা অসত্য বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন: বা
(আ) টার্নওভার কর দাখিলপত্রে উক্ত ব্যক্তি কোন কর মেয়াদে তাহার টার্নওভার সম্পর্কে মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করিয়াছেন।

(খ) যদি উক্ত ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হন।

(গ) যদি উক্ত ব্যক্তি প্রদেয় কর পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন বা ফাঁকি প্রদান করেন বা পরিহার করেন; বা

(ঘ) যদি উক্ত ব্যক্তি অর্থ ফেরত লাভের বা প্রত্যর্পণ পাওয়ার অধিকারী না হওয়া সত্ত্বেও তাহার বরাবরে অর্থ ফেরত প্রদান বা প্রত্যর্পণ প্রদান করা হয়।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন যে ব্যক্তির উপর কর নির্ধারণ করা হয় সেই ব্যক্তি উক্ত উপ-ধারার অধীন কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে লিখিতভাবে উক্ত নোটিশের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করিলে তাহাকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে, অতঃপর উক্ত ব্যক্তির উত্থাপিত আপত্তি বিবেচনা করিয়া সংশ্লিষ্ট কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা উক্ত আপত্তি দাখিলের ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে, যাহার মধ্যে উক্ত ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমোদিত সময় অন্তর্ভুক্ত হইবে না বা কোন আপত্তি দাখিল করা না হইলে উক্ত উপ-ধারার অধীন নোটিশ জারির তারিখ হইতে ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে নোটিশ চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে চূড়ান্ত কর নির্ধারণ করিতে পারিবেন, যাহাতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যের সহিত নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি উল্লেখ থাকিবে, যথা:-

(ক) কর নির্ধারণের কারণ, কর নির্ধারণের ফলে প্রদেয় করের পরিমাণ এবং যাহার ভিত্তিতে উক্ত পরিমাণ কর নির্ধারণ করা হইয়াছে উহার বিবরণ:

(খ) যে তারিখের মধ্যে কর প্রদান করিতে হইবে সেই তারিখ, তবে, উক্ত তারিখ নোটিশ জারির তারিখ হইতে কমপক্ষে ১৫ (পনের) কার্যদিবস পরে হইতে হইবে; এবং

(গ) কর নির্ধারণের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করিবার স্থান ও সময়।

(১২০ দিনের মধ্যে কর নির্ধারণ করার বাধ্যবাধকতা আছে। এ সময়ের মধ্যেই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি, শুনানী গ্রহণ এবং কর নির্ধারণী আদেশ জারি করতে হবে এবং নির্ধারিত কর পরিশোধের জন্য কমপক্ষে ১৫ কার্যদিবস সময় দিতে হবে। এ বিষয়ে অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনার একাদশ অধ্যায়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
(২ক) উপ-ধারা (১) ও উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কারণে উক্ত কর নির্ধারণ পরিস্থিতির উদ্ভব হইয়াছে উহাতে ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির উপাদান থাকিলে ধারা ৮৫ অনুযায়ী জরিমানা আরোপের বিষয়টি কর-নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রাথমিক কারণ দর্শানো নোটিশে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে এবং উক্ত নোটিশ চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে কর নির্ধারণ চূড়ান্ত করিবার পাশাপাশি জরিমানা আরোপের বিষয়টিও চূড়ান্ত করা যাইবে।।
[এ সংশোধনী আনয়নের ফলে কর নির্ধারণ ও জরিমানা আরোপ কার্যক্রম এক কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে সম্পাদন করা যাবে।]

(৩) কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা কর মেয়াদ সমাপ্তির ৫ (পাঁচ) বৎসর, তবে শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৩ (তিন) বৎসরের অধিককাল পরে উল্লিখিত কর মেয়াদের জন্য সংশোধিত কর নির্ধারণসহ কোন কর নির্ধারণ করিতে পারিবেন না, যদি না-

(ক) নিবন্ধিত ব্যক্তি দাখিলপত্র পেশকরণে ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা বা প্রতারণা করেন, কোন কর মেয়াদের জন্য দাখিলপত্র পেশ না করেন, বা কর মেয়াদে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিয়া অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য আবেদন করেন; বা

(খ) নিবন্ধিত ব্যক্তি কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোন তথ্য গোপন করেন, বিকৃত করেন বা মিথ্যা তথ্য প্রদানপূর্বক কর চালানপত্র ইস্যু করেন বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই সকল বা অন্য কোন অপরাধ করেন: বা

(গ) আদালত বা আপীলাত ট্রাইব্যুনাল বা মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কার্যকরকরণের জন্য সংশোধিত কর নির্ধারণ প্রয়োজন হয়।।

(উপরোল্লিখিত (ক) ও (খ) এর ক্ষেত্রসহ আদালত কর্তৃক কমিশনারের কর নির্ধারণী আদেশ বা আপিলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রায় সংশোধনের লক্ষ্যে কিংবা, আপিলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কমিশনারের কর নির্ধারণী আদেশ পরিবর্তনের লক্ষ্যে পর্যবেক্ষণসহ রিমান্ডে প্রেরণ করা হলে সেক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তিন বছর এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের সময়সীমা প্রযোজ্য হবে না।)

(৪) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, এই ধারার কোন কিছুই কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা। কে কোন সুদ বা জরিমানা আরোপে ও আদায়ে বাধা সৃষ্টি করিবে না, যথা:-

(ক) প্রদেয় মূসক, সম্পূরক শুল্ক বা টার্নওভার কর পরিশোধের মূল ধার্য তারিখ হইতে হিসাব করিবার ক্ষেত্রে; বা

[ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত কর্মকর্তাদেরকে কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ ও সুদ নির্ধারনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ জরিমানা বা সুদ মূল্য সংযোজন কর, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বা টার্নওভার কর নির্ধারনের তারিখ থেকে হিসাব করতে হবে। যদি উচ্চতর আদালতে কর নির্ধারনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয় এবং রায় সরকারের পক্ষে প্রচারিত হয় তাহলেও সুদ, কর নির্ধারনের পর যথাযথ কর্মকর্তা তা পরিশোধের জন্য যে তারিখ নির্দিষ্ট করে দিবেন সে তারিখ থেকেই কার্যকর হবে।)

(খ) কোন ব্যক্তি অর্থ ফেরত লাভের অধিকারী না হওয়া সত্ত্বেও, যদি তাহাকে কোন অর্থ ফেরত প্রদান করা হয় এবং উত্তরূপে ফেরত প্রদানকৃত অর্থ সমন্বয়ের নিমিত্ত কোন কর নির্ধারণের উদ্ভব হয়, তাহা হইলে যেই তারিখে উক্ত ব্যক্তিকে অর্থ ফেরত প্রদান করা হইয়াছিল, সেই তারিখ হইতে হিসাব করিবার ক্ষেত্রে।

(৫) দাখিলপত্র পরীক্ষায় উপকরণ কর রেয়াত বা হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণের অনিয়ম উদঘাটিত হইলে সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া প্রদেয় করের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top