(১) প্রত্যেক নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি আমদানিকৃত পণ্যের সরবরাহের উপর প্রদেয় মূসক উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত হারে আগাম পরিশোধ করিবেন।
[আমদানিকৃত পণ্যের সরবরাহের উপর যে মূসক প্রদেয় হয় তা আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। এ অগ্রিম পরিশোধিত মূসকই আগাম কর।।
(২) করযোগ্য আমদানির উপর মূসক যে সময় ও পদ্ধতিতে আদায় করা হয় সেই একই সময় ও পদ্ধতিতে করযোগ্য আমদানির মূসক আরোপযোগ্য ভিত্তিমূল্যের উপর বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানিকৃত উপকরণের ক্ষেত্রে ৭৩ (তিন)। শতাংশ হারে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) শতাংশ হারে আগাম কর প্রদেয় হইবে।
(৩) প্রত্যেক নিবন্ধিত আমদানিকারক যিনি আগাম কর পরিশোধ করিয়াছেন তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদ বা তৎপরবর্তী চারটি কর মেয়াদের মধ্যে মূসক দাখিলপত্রে পরিশোধিত আগাম করের সমপরিমাণ অর্থ হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(৪) যে ব্যক্তি আগাম কর পরিশোধ করিয়াছেন কিন্তু নিবন্ধিত নহেন তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে আগাম কর ফেরত প্রদানের নিমিত্ত কমিশনারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(বিধি-১৯ এর উপ-বিধি (৩) তে আমদানি পর্যায়ে আগাম কর পরিশোধকারী অনিবন্ধিত ব্যক্তির রিফান্ড পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। আগাম কর সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এস আর ও নং-১৫১-আইন/২০২১/১৪৮ -মূসক তারিখঃ ০৩ জুন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ জারির পর অনিবন্ধিত ব্যক্তির আগাম কর পরিশোধের সুযোগ কমে আসছে।)
(৫) কমিশনার আবেদন প্রাপ্তির পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা নিষ্পত্তি করিবেন।
(আগাম কর মূসক ব্যবস্থার একটি বিচ্যুতি। বাংলাদেশের অসংঘটিত করদাতাদের নিকট থেকে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি। এর ফলে মূসক হিসাব সংরক্ষণ, দাখিলপত্র প্রদানসহ কর পরিপালন করতে করদাতাদের মধ্যে আইনি বাধ্যবাধকতা আরোপ করা সম্ভব হয়েছে। আগাম কর রিফান্ড ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত দশম অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে।)