(১) নিম্নবর্ণিত সারণীর কলাম (২) এ বর্ণিত “ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে) ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা। কলাম (৩) এ বর্ণিত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম= ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(খ) নিবন্ধন বা টার্নওভার কর সনদপত্র যথাস্থানে প্রদর্শন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম= ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(গ) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যের পরিবর্তন সম্পর্কে কমিশনারকে অবহিত না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম=১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(ঘ) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি বাতিলের আবেদন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম=১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(ঙ)ধারা ৯(৫) এর বিধান পরিপালন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম=১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(চ) নির্ধারিত তারিখের মধ্যে মুসক বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম=৫ (পাঁচ)। হাজার টাকা মাত্র
(ছ) দাখিলপত্রে উৎপাদ করের কোন পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম= অনুল্লেখিত উৎপাদ করের (অন্যূন অর্ধেক এবং অনুর্ধ্ব সমপরিমাণ)
(জ)দাখিলপত্রে প্রাপ্য উপকরণ করের রেয়াত অধিক গ্রহণ করিবার অনিয়ম= অনিয়মিতভাবে গৃহীত উপকরণ করের (অন্যূন অর্ধেক এবং অনুর্ধ্ব সমপরিমাণ)
(ঝ) দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করিবার বা বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হ্রাস করিবার অনিয়ম= বর্ধিত হ্রাসকারী সমন্বয়ের দ্বিগুণ বা হ্রাসকৃত বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের (অন্যূন অর্ধেক এবং অনুর্ধ্ব সমপরিমাণ)
(ঞ)কর চালানপত্র, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট ৫[**] বা উৎসে কর কর্তন সনদপত্র প্রদান না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম = ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(ট) রেকর্ডপত্র নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম =১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(ঠ) নির্ধারিত জামানত প্রদান না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম = ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(ড) আরোপিত কর নিরূপণ ও পরিশোধ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিহার বা পরিহারের চেষ্টা করিবার অনিয়ম= পরিহারকৃত করের (অন্যূন অর্ধেক এবং অনুর্ধ্ব সমপরিমাণ)
(ঢ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপকরণ-উৎপাদ সহগ (Input-Output coefficient) দাখিল না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম = ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(ণ) অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে আইনের ধারা ৫১, ৫৩, ৫৪, ৬৪ ও ১০৭ এ উল্লিখিত বিধান পরিপালন করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম = ১ (লক্ষ) টাকা মাত্র
(১ক) ধারা ৪৯ এর বিধান অনুযায়ী উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন এবং জমা প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী উক্ত ধারার অধীন উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে,-
(অ) ধারা ১২৭ অনুযায়ী আরোপিত সুদসহ উক্ত মূল্য সংযোজন কর তাহার নিকট হইতে এইরূপে আদায় করা হইবে যেন তিনি উক্ত ধারার অধীন একজন পণ্য বা সেবা সরবরাহকারী:
(আ) দফা (অ) এর বিধানাবলী ক্ষুন্ন না করিয়া উৎসে কর্তিত মূল্য সংযোজন কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী ব্যক্তি, কর্তিত মূল্য সংযোজন কর জমা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কমিশনার অনধিক ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা ব্যক্তিগত জরিমানা করিতে পারিবেন।)
(২) অপরাধ বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকি। ব্যতীত যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান অনুযায়ী করণীয় কোন কিছু করিতে ব্যর্থ হন বা নিষিদ্ধ কিছু করেন, তাহা হইলে গধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা। উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত ব্যর্থতা বা কর্মকান্ডের গুরুত্ব ও পৌনঃপুণিকতাভেদে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও পরিমাণে, জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
(মূলত এ ধারার উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যেই বিধি ৬৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।)
(২ক) কোন ব্যক্তি ভুলবশত বা ভুল ব্যাখ্যার কারণে কর পরিশোধ না করিলে বা কর অনাদায়ী থাকিলে বা কর ফেরত গ্রহণ করিলে বা অধিক রেয়াত গ্রহণ করিলে বা যথাযথভাবে হ্রাসকারী/বৃদ্ধিকারী সমন্বয় না করিলে এবং পরবর্তীতে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নিরূপিত চূড়ান্ত কর সুদসহ পরিশোধ করিলে, উক্ত ক্ষেত্রে তাহার উপর কোন জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।।
(জরিমানা আরোপ না করার ক্ষেত্রে তা কিভাবে ভুলবশত বা ভুল ব্যাখ্যার কারনে ফাঁকি হয়েছে তা বিচারাদেশে উল্লেখ করতে হবে। ন্যায় নির্ণয় সংক্রান্ত সার্বিক দিক অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনার দ্বাদশ অধ্যায়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।)
(৩) কোন ঘটনায় অপরাধ ও ব্যর্থতা বা অনিয়মের উপাদান থাকিলে অপরাধের জন্য ফৌজদারী মামলা এবং ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য কার্যধারা গ্রহণে এই আইনের কোন কিছুই ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তাকে বাধাগ্রস্ত করিবে না।
(আইনের ধারা ২ এর দফা (২) তে সংজ্ঞায়িত ‘অপরাধ’ ও ‘কর ফাঁকি’ একই সাথে সংঘটিত হয় তাহলে অপরাধের জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফৌজদারি মামলা এবং কর ফাঁকির জন্য আইনের ধারা ২ এর দফা (৩৫) মোতাবেক ‘কার্যধারা’ (অর্থাৎ কমিশনার থেকে রাজস্ব কর্মকর্তা পর্যন্ত ন্যায়নির্ণয় করা হয় এমন মামলা) গ্রহণ করতে হবে।)
(৪) গধারা ৮৬ এ উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা জরিমানা আরোপের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে, উপ-ধারা (১) এর সারণীর (১) নং কলামের ক্রমিক নং (চ) এর ক্ষেত্র ব্যতীত, ধারা ৭৩ অনুযায়ী প্রদানকৃত কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে বা পৃথক নোটিশের মাধ্যমে শুনানির সুযোগ প্রদান করিবেন।।
(৪ক) কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো সরবরাহ না থাকিবার কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি সাময়িকভাবে বন্ধ হইয়া যায় এবং প্রতি কর মেয়াদান্তে দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর পুনরায় উক্ত প্রতিষ্ঠান চালু হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ এবং পুনরায় চালু হইবার মধ্যবর্তী কর মেয়াদ বা কর মেয়াদসমূহের দাখিলপত্র পেশের ব্যর্থতার জন্য উপ-ধারা (১) এর সারণীর (১) নং কলামের ক্রমিক নং (চ) এ উল্লিখিত জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।)
(৫) মূসক, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার কর, সুদ ও অর্থদন্ডের অতিরিক্ত হিসাবে জরিমানা প্রদেয় হইবে।