Legal procedures for winding up a company
বাংলাদেশে একটি কোম্পানি বন্ধ (winding up) করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু আইনগত ধাপ অনুসরণ করতে হয়। কোম্পানি বন্ধ করার প্রক্রিয়াটি সাধারণত তিনভাবে করা যায়:
স্বেচ্ছায় বন্ধ করা (Voluntary Winding Up)
আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করা (Winding Up by Court)
ঋণদাতাদের মাধ্যমে বন্ধ করা (Creditors’ Winding Up)
নীচে স্বেচ্ছায় কোম্পানি বন্ধ করার সাধারণ ধাপগুলো দেওয়া হলো:
১. বোর্ড মিটিং ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ:
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ একটি বোর্ড মিটিং আহ্বান করবে।
মিটিংয়ে কোম্পানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত (Resolution) গৃহীত হবে।
শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা (EGM) আয়োজন করতে হবে।
২. শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন:
শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ সভায় কোম্পানি বন্ধ করার জন্য বিশেষ সিদ্ধান্ত (Special Resolution) গ্রহণ করতে হবে।
নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের সমর্থন প্রয়োজন হয় (সাধারণত ৭৫%)।
৩. কর ও দেনা পরিশোধ:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) থেকে ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
কোম্পানির দেনা ও পাওনাগুলো পরিশোধ করতে হবে।
কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে।
৪. যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (RJSC) নোটিশ দাখিল:
কোম্পানি বন্ধ করার জন্য RJSC-তে আবেদন করতে হয়।
RJSC-তে Strike Off Application জমা দিতে হয়।
কোম্পানির সমস্ত নথিপত্র, আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত অ্যাকাউন্ট দাখিল করতে হবে।
৫. আদালতের অনুমোদন (যদি প্রয়োজন হয়):
কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যদি দেনাদার থাকে, তবে আদালতের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হতে পারে।
৬. চূড়ান্ত লিকুইডেশন ও কোম্পানির নাম বাতিল:
RJSC যাচাই-বাছাই করে কোম্পানির নাম রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (RJSC) থেকে মুছে ফেলবে।
এরপর কোম্পানিটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত (dissolved) হয়ে যাবে।
বিচারিকভাবে (By Court) কোম্পানি বন্ধের কারণ:
কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেলে (Bankruptcy)।
কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা করা অবৈধ বা প্রতারণামূলক হলে।
শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে গুরুতর বিরোধ থাকলে।
আপনি যদি আপনার কোম্পানিটি বন্ধ করতে চান, তবে একজন আইনজীবী বা কোম্পানি পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া উত্তম হবে। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন : ০১৭১৩ ৫৬০০৬৫